
ল্যান্টেনা। ছবি: সঞ্জয় সরকার
ল্যান্টেনা আমাদের এই অঞ্চলে পর্তুগিজরা প্রথম সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে নিয়ে আসে। এটি বাংলাদেশের ঝোপঝাড় থেকে শুরু করে শখের বাগান সবখানেই দেখা যায়। শীতকালে এই গাছে নানা রঙের ফুল দেখা যায়। হলুদ, কমলা, বেগুনি, ম্যাজেন্টা, লাল ইত্যাদি বাহারি রঙের ফুল হয়ে থাকে।
পরাগায়ণের সময় ফুলের রঙ উজ্জ্বল থাকে। পরে ধীরে ধীরে রঙ ফিকে হতে শুরু করে। গবাদি পশুর জন্য খানিকটা বিষাক্ত হলেও প্রজাপতির কাছে এই গাছ খুবই প্রিয়। বিভিন্ন রকমের প্রজাপতি ল্যান্টেনা ফুলের মধু আহরণের জন্য সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। একে পুটুস বা ছত্রা নামেও ডাকা হয়।
ল্যান্টেনার উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম হলো- Lantana camara. এটি কীটনাশক হিসেবে কাজ করে। গাছের ‘উকুন’ নামে পরিচিত এফিড পোকা দমনে ল্যান্টেনা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে গাঢ় বেগুনি রঙের হয়।
সাধারণত বীজের সাহায্যে বংশবিস্তার করে থাকে। তবে ডাল থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বংশ বিস্তার করা সম্ভব। পাখিরা পাকা ফল খেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেললে প্রাকৃতিকভাবেই গাছ জন্মে। ফলে বাংলাদেশের ঝোপঝাড়ে ল্যান্টেনা দেখা যায় সহজেই।